সাম্প্রতিক বছর সমূহের (৩ বছর) প্রধান অর্জন সমূহঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষে বস্ত্র শিল্প দেশ ও বিদেশে Executive level এ দক্ষ মানব সম্পদ (Skilled Manpower) তৈরি করার প্রয়াসে বেগম আমিনা মনসুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি একটি নবনির্মিত প্রতিষ্ঠান যার নির্মাণ কাজ গত জুন ২০২১ এ শেষ হয়। এর আগে প্রকল্পের অধীনে প্রশাসনিক কাম একাডেমিক ভবন, স্পিনিং ও উইভিং সেড, ডাইং ও গার্মেন্টস সেড, স্টাফ কোয়ার্টার, ছাত্র হোস্টেল, ছাত্রী হোস্টেল এবং লাইব্রেরী কাম ওয়ার্কশপ ভবন ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়েছে। গত ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং সর্বশেষ ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪৬ জন শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অত্র প্রতিষ্ঠানে সমৃদ্ধ লাইব্রেরী,আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব ও বিশ্বমানের স্পিনিং সেড, উইভিং সেড, ডাইং ও প্রিন্টিং ল্যাব, গার্মেন্টস ল্যাব, টেষ্টিং ল্যাব, ফ্যাশন এন্ড ডিজাইন ল্যাব, ওয়াই-ফাই সুবিধাসহ উন্নত শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে অধ্যয়ণরত রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামগ্রিকভাবে এই ইনস্টিটিউট দিনে দিনে এ অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে।
সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ সমূহঃ
প্রয়োজনীয় শিক্ষকের সঙ্কট ও গুরুত্বপূর্ণ পদে জনবল না থাকা, অপ্রতুল অবকাঠামো, কলেজ বাস ও অধ্যক্ষ মহোদয়ের গাড়ি না থাকা, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না থাকা, মাল্টিমিডিয়া শ্রেণীকক্ষ না থাকা, খেলার মাঠ না থাকায় শিক্ষার্থীরা কো-কারিকুলাম কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারছে না, সরকারি বস্ত্র শিল্প/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমম্বয়হীনতা। নতুন ০৪ টি স্পেশালাইজেশনের জন্য সংশ্লীষ্ট প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল অপরিহার্য। বেশিরভাগ পদের বিপরীতে জনবল নেই। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সংযুক্তির মাধ্যমে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল জনবল দিয়ে প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজ চালানো হচ্ছে। যা ২য় শিফট পরিচালনার জন্য মূল চ্যালেঞ্জ।
ভবিষ্যত পরিকল্পনাঃ
ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার হার ও মান বৃদ্ধি করা; বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাথে যৌথভাবে Need-based curriculum প্রণয়ণে সহযোগিতা করা; শিল্প কারখানার চাহিদা মোতাবেক দেশীয় দক্ষ Mid- level প্রযুক্তিবিদ ও ফ্যাশন ডিজাইনার তৈরী করার মাধ্যমে, বস্ত্র শিল্পে যে সকল বিদেশী প্রযুক্তিবিদ ফ্যাশন ডিজাইনার নিয়োজিত আছে; তাদের স্থানে দেশীয় প্রযুক্তিবিদ ও ডিজাইনার প্রতিস্থাপন করা। বস্ত্র শিল্প মালিকদের সাথে সমম্বয় করে শিক্ষার্থীদের মিল ভিজিটের হার বৃদ্ধি করা এবং সর্বোপরি দক্ষ দেশীয় প্রযুক্তিবিদ নিয়োগের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা রক্ষায় সহযোগিতা করা। করোনা ভাইরাসে পিছিয়ে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী সরাসরি ও অন-লাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে সামনে এগিয়ে নেয়া।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের সম্ভাব্য প্রধান অর্জন সমূহঃ
১. দক্ষ জনবল তৈরীর লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ১ম পর্বে ২৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা।
২. ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ মর্নিং শিফটে ৭০০ টি তাত্ত্বিক ক্লাশ ও ২০০ টি ব্যবহারিক ক্লাশ এবং ডে শিফটে ৩৫০ টি তাত্ত্বিক ক্লাশ ও ১০০ টি ব্যবহারিক ক্লাশ গ্রহণ করা।
৩. নির্ধারিত ধারাবাহিক ও ফাইনাল পরীক্ষা সমূহ গ্রহণ করা।
৪. শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে ৮০% উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ।
৫. শিক্ষা, সাহিত্য, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা।
৬. সহ-শিক্ষা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা।
৭. মেধা ও হাজিরার ভিত্তিতে ৭০% মেধাবী ছাত্র এবং ১০০% মেধাবী ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান করা।
৮. Budget Implementation plan এর বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস